গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর মৃত‍্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিব‍্যি অংশ নিলেন দলের কর্মসূচীতে

28th August 2021 6:17 pm বর্ধমান
গোষ্ঠী সংঘর্ষে তৃণমূল কর্মীর মৃত‍্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দিব‍্যি অংশ নিলেন দলের কর্মসূচীতে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  বর্ধমান শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী অশোক মাঝি খুন হয়েছেন গোষ্ঠী বিবাদের জেরে। সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দলেরই সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব। তাকে আজ দলেরই দু দুটি কর্মসূচিতে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ সহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।এছাড়াও অভিযুক্ত আরো দুই সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও আব্দুর রব। এদিন ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তিনি দলের পতাকা উত্তোলন করেন।অন্যদিকে শহরেরই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রক্তদান শিবিরেও তাকে বিধায়ক খোকন দাসের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়।দলের গোষ্ঠী বিন্যাসে অভিযুক্তরা বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। 
এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপির শহর কনভেনর কল্লোল নন্দন।  তিনি জানান; গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কী না সবাই জানে। তবে তা হোক বা না হোক একজন লোক খুন হয়েছে। তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে । অভিযুক্ত যে তিনি দলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ।এতে দলই কলুষিত হচ্ছে। আর প্রশাসন নির্বিকার হয়ে দেখে যাচ্ছে।তাদের উচিত যথাযথ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করা।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন ; এটা দলের কোন অভিযোগ ছিল না। নিহতের পরিবার এই অভিযোগ করেছে। নিহত তৃণমূল কর্মী। সেখানে দলের জেলা সভাপতি সহ অন্যরা গিয়েছিলেন।পুলিশ পুলিশের মত করে তদন্ত করছে।এতে আমাদের বলার কী ই বা থাকতে পারে?পুলিশ যেভাবে মনে করবে তদন্ত সেভাবেই চলবে।আইন আইনের পথেই চলবে। প্রসঙ্গত তৃণমূলকর্মী অশোক মাঝি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন  তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার  বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। শিবশংকর ঘোষ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের  সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামী বলে পরিচিত।বুধবার রাতে স্পেশাল অপারেশন টিম শক্তিগড় থেকে শিবশংকরকে গ্রেপ্তার করে। অশোক মাঝির স্ত্রী ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিমের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ পত্রে শিবশংকর ঘোষ, অন্য আর এক প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব ও প্রাক্তন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদকে মূল অভিযুক্ত  বলা হয়। শিবশংকর ঘোষকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। অথচ প্রকাশ‍্যে দলের কর্মসূচীতে অংশ নিলেন । মাইকে বক্তব‍্য ও রাখলেন আব্দুল রব ।  পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান; পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। এফ আই আরে নাম থাকলেই যে গ্রেপ্তার করা হবে তা ঠিক নয়। নাম না থাকলেও কেউ গ্রেফতার হতে পারেন।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।